কানাইঘাটে বিধবা মহিলাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা, ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাটে এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

নিহত বিধবা মহিলার নাম হালিমা বেগম (৩০)। তিনি উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের চলিতাবাড়ী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নিহত বিধবা মহিলার মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে চলিতাবাড়ী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সারওয়ার হোসাইনকে।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন নারাইনপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল্লাহ, চলিতাবাড়ী গ্রামের করিম চৌধুরীর ছেলে রহিম চৌধুরী,দর্জিমাটি গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে সুমন আহমদ, ভাড়ারিমাটি গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে আবুল মনসুর, দলইমাটি গ্রামের মো: আফতাব উদ্দিনের ছেলে ইফতেখার আলম, তিনচটি গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে তানিম আহমদ ও চলিতাবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাসিম আহমদ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) চলিতাবাড়ী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের বিধবা মেয়ে হালিমা বেগম রাত ১১ ঘটিকার দিকে প্রকৃতির কাজে ঘরের বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা হালিমার মুখে কাপড় দিয়ে আওয়াজ বন্ধ করে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ সেখানে ৭/৮ জনের একটি দল হালিমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায় প্রচুর রক্তকরণ হলে হালিমাকে ফেলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়৷
হালিমাকে ঘরে খোঁজাখোজি করে না পেয়ে আশপাশের বিভিন্ন জায়গা খুঁজতে গিয়ে ঘরের পাশে একটি জঙ্গলে হালিমার ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় হালিমার মা বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, হালিমার ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, পালাক্রমে ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।