এমসি ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : সম্পৃক্ততা স্বীকার অর্জুনের
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণের মামলার তিন আসামি রবিউল, অর্জুন ও সাইফুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের মধ্যে অর্জুন লস্কর গণধর্ষণের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদেরকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে শাহপরাণ থানার পুলিশ। এরপর তিন আসামির মধ্যে অর্জুন ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অর্জুনের জবানবন্দি গ্রহণ করছিলেন আদালত। এরপর অন্য দুই আসামি সাইফুর ও রবিউলের ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের কথা রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত। এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আগামীকাল শনিবার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধুকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ওই গৃহবধু তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘোরাঘুরীর একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক গৃহবধুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতে শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। একপর্যায়ে গৃহবধু ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয় এবং গৃহবধুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি-তে প্রেরণ করে