সর্বশেষ

» ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: বিএনপি

প্রকাশিত: ২৬. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। বলছে, প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলা হয় বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভূত সংঘাতের ঘটনাগুলোতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসাবে এধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্তের প্রতি হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা জরুরি। এই লক্ষে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, পতিত ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাংচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মত ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণমাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। এসব সমাজবিরোধী এবং ঐক্য বিনাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান হয় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি বলেও মনে করেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করা হয় এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অন্তরায় হিসাবে কাজ করার বিষয়ে ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এধরনের মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহ্বান জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930