সর্বশেষ

» রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের, শিবিরের নামে নথি নেই: ফরহাদ

প্রকাশিত: ২৬. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক: বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে।

সে কারণে প্রথমে তারা সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। তারপর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে।

এমনও হয়েছে, কেউ নামাজ পড়ছে এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছে, আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙে গেছে।

কারণ, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম। দীর্ঘ ৫ বছর আমাদের যারা পর্যালোচনা করেছেন, তারা এখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
গত কয়েকবছর কেন গোপনে রাজনীতি করেছিলেন? জানতে চাইলে ফরহাদ বলেন, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছিল। এরপরও যেখানে সম্ভব হয়েছে, সেখানে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ৫৬ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে গুম করা হয়। , ক্রসফায়ার দেয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে দেয়; কেউ কিছু বলে না। এমন পরিস্থিতিতে তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছো না- এই প্রশ্ন যৌক্তিক নাকি তোমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই প্রশ্নটি যৌক্তিক?

তিনি আরও বলেন, আমাদের শত শত দায়িত্বশীল এখনো গুম রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী কয়েকটি কমিটির সদস্যদের ক্রসফায়ার দেওয়া হবে এবং পরের কেউ হত্যার ভয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না- (এমন পরিস্থিতিতে) একটি মজলুম সংগঠনকে এই প্রশ্ন করা আরও বড় জুলুম।

৯ দফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনটা সকল মানুষের ছিল। বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। ছাত্রশিবিরও তার রিসোর্স নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে- এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

ফরহাদ আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যে ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার প্রত্যেকটির বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা সবাই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা ছাত্রশিবির থেকে তা দেব।

পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। রগ কাটা লিখে গুগলে সার্চ করলে দেখা যাবে সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে। শিবিরের নামে কোনো নথি পাওয়া যাবে না। ফ্যাসিবাদ যে বয়ান তৈরি করেছে, তার বিরোধিতা কেউ করতে পারেনি। আমাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। জরিপ করলে ছাত্রশিবিরের বিষয়ে ৯০ শতাংশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।

ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফরহাদ বলেন, ছাত্রলীগের কমিটির কিছু প্রক্রিয়া আছে। আমি কখনো সেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করিনি। কখনো সিভি জমা দিইনি। তবুও কেন আমাকে পদ দিল, সে প্রশ্ন ছাত্রলীগকে করা উচিত। বিতর্ক সংসদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমার ছবি দেখা গেছে। আমি কেবল আয়োজক হিসেবে ছিলাম।

ছাত্রশিবির সম্পাদক আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি নিয়ে এখন যে চিন্তাগঠন আছে, এটা গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী বয়ানের আউটপুট। তারা দেখেছে, ছাত্ররাজনীতি মানে নেতাকে প্রটোকল দেওয়া, হলে আসন বণ্টন করা, ভিন্নমতকে নির্যাতন করা এবং কেউ কথা বলতে না পারা। কিন্তু আমূল সংস্কারের পর এসব পরিবেশ পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি গ্রহণ করবে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728