কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ১৫

চেম্বার ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছয়সূতীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুসের মিছিলকে কেন্দ্র করে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম মীর আরিফ মিলন। তিনি ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছয়সূতী ইউনিয়ন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে জশনে জুলুসের একটি মিছিল প্রথাব নাথ বাজার থেকে মাধবদী এলাকা ও লক্ষীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে ছাড়াকান্দা গ্রামের জুলহাস মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে পুনরায় প্রথাবনাথ বাজারে যাচ্ছিলো।
এ সময় মিছিল থেকে কিছু লোক ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডের কাছে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। স্থানীয় মুসল্লি, মসজিদ মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও ছয়সূতী ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি মীর আরিফ মিলন বাধা দেন। এতে মীর আরিফ মিলন, ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হানিফ মিয়ার ছেলে রেদোয়ান, নিজগাঁও মসজিদের মুয়াজ্জিন চক্ষু প্রতিবন্ধী (অন্ধ) মো. শাহিনসহ ১০ জন আহত হন। স্থানীয়রা মীর আরিফকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে মসজিদ ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুসুল্লিরা উত্তেজিত হয়ে ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এক পর্যায়ে প্রথাবনাথ বাজারে পাশে অবস্থিত সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মনজুরুল হামিদের মাজারসহ কয়েকটি ঘর, বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় ৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বলেন ‘দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সহকারী পুলিশ সুপার (ভৈরব সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন খান ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।