বড়লেখায় চোরাগুপ্তা হামলায় শিবির নেতা আহত

বড়লেখা প্রতিনিধি : ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর থেকে বদলে গেছে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও তাদের অনুসারী কর্তৃক চোরাগুপ্তা হামলার ঘটনায় জনমণে বিরাজ করছে আতঙ্ক। থানায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সুবিধাপ্রাপ্তরা নাশকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।

গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট তালামীযের নেতাকর্মীরা একজন ছাত্র সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবির নেতার উপর হামলা করেছে। এলাকায় তালামীযের প্রভাব থাকায় কেউ এর প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছেনা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকায় গতকাল বুধবার রাতে বড়লেখা সুজাউল সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন সভাপতি মঞ্জুরুল করিমের উপর আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া নামক আওয়ামী সমর্থনপুষ্ট সংগঠনের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের হামলায় মঞ্জুরুল করিম ইকবালের হাতের কয়েকটি রগ কেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই থাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের সব থানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার কারণে পুলিশ থানা ছেড়ে চলে যায়। ফলে পুলিশ শুন্য হয়ে পড়েছে বড়লেখা থানা। তাই থানার ওসি সহ কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বড়লেখা উপজেলার একাধিক সমন্বয়ক জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাদের দোসর এবং আওয়ামী প্রশাসন দেশকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর রয়েছে। তারা ছাত্রজনতার উপর গুপ্ত হামলার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে বিগত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় বড়লেখা সুজাউল সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল করিমের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এব্যাপারে ছাত্রজনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।