এলাকায় লাখ লাখ টাকা খরচ করতেন আবেদ আলীর পুত্র সিয়াম
চেম্বার ডেস্ক: পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম হোতা মাদারীপুরের গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামের উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা। এ জন্য উপজেলার সন্ত্রাসী, মাদকসেবীসহ অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িতদের সঙ্গে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল।
গ্রামের বাড়ি ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলার এসে সিয়াম সহযোগীদের নিয়ে দামি গাড়িতে চড়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াতেন। সহযোগী ও বন্ধুদের পেছনে তিনি লাখ-লাখ টাকা খরচ করতেন। তার গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সিয়ামকে বেশিদিন কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। কারণ ওপর মহলে তাদের হাত আছে। সিয়াম এলাকায় লোক-দেখানো সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে তার সংবাদ ও ছবি টাকা দিয়ে নিজের ও পিতা আবেদ আলীর ফেসবুক পেজ বুস্ট করতেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বাবা-ছেলের এসব অপকর্ম প্রচার ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তারা গ্রেফতারের পর গ্রামবাসী এখন আসল ব্যাপার বুঝতে শুরু করেছে।
আবেদ আলী এলাকায় দান-খয়রাত করলেও গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, তার ছোট দুই ভাই দারিদ্র্যের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। তারা দিনমজুরের কাজ করেন।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, আবেদ আলীর পুরোনো ভিটায় পরিত্যক্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ একটা একতলা ভবন। গ্রামের বাড়িতে এলে সিয়াম ওই বিল্ডিংয়ে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেন। অথচ তার দুই চাচা থাকছেন ভাঙাচোরা টিনের ঘরে।
এলাকাবাসী মাইনুলসহ বেশ কয়েকজন জানান, সিয়াম বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এলাকায় এসে আড্ডাবাজি করত। মুহূর্তের মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করত। টাকার প্রতি তার কোনো মায়া ছিল না।
ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিক হোসেন বলেন, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সময় সিয়ামকে কখনো পাওয়া যায়নি। সিয়াম যে ভাবে চলাফেরা করতেন, সেভাবে কোনো ছাত্রলীগের কর্মী চলতে পারে না। তার লাইফ স্টাইলে ছিল দাম্ভিকতা। মানুষকে তিনি মানুষ মনে করতেন না।