সিলেটে এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছে ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী
চেম্বার ডেস্ক: এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ৩০ জুন থেকে শুরু হলেও বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত ছিল। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে সিলেট বিভাগে। পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে অংশ নিয়েছে।
পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে যাতে বিঘ্ন না ঘটে এবং নিরাপত্তা বিবেচনায় কেন্দ্রের ২০০ গজে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সিলেট মেট্রোপলিন পুলিশ (এসএমপি)। এছাড়া সিলেট নগর ও শহরের ২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে সমাবেশ ও মিছিলসহ কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগের চার জেলায় ৮৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে সিলেটে ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২২টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি ও হবিগঞ্জে ১৮টি।
আগের রুটিন অনুযায়ী অন্য বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার পর ১৩ আগস্ট থেকে স্থগিত হওয়া চারটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। গত সপ্তাহে পরীক্ষার নতুন রুটিনও প্রকাশ করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। নতুন রুটিনে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা আগামী ১৩, ১৮, ২০ ও ২২ আগস্ট হবে।
অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা আগের রুটিন অনুযায়ী হবে। আগের রুটিনে ৩০ জুন বাংলা প্রথম পত্র, ২ জুলাই বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ৪ জুলাই ইংরেজি প্রথম পত্র ও ৭ জুলাই ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এখন ১৩ আগস্ট বাংলা প্রথম পত্র, ১৮ আগস্ট বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি প্রথম পত্র ও ২২ আগস্ট ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, সিলেটে চলছে তৃতীয় দফা বন্যা। এ বন্যায় এখনো ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। অনেক কেন্দ্রে পানি থাকায় কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীর অনুপরিস্থিতির সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ- অনেক পরীক্ষার্থী বাড়িতেই নেই, আছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। আবার অনেকে বাড়িতে থাকলেও তিন দফা বন্যায় তাদের বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত, বানের জলে ভেসে গেছে বই-পত্র। এ অব্স্থায় অনেকে ভালো করে পরীক্ষার প্রস্তুতিই নিতে পারেননি।