বিয়ানীবাজারে শিক্ষকের ভিডিও ভাইরালের অন্তরালে
স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ানীবাজারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভিডিও ভাইরালের অন্তরালে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনার মুল ভিকটিম গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে জড়িয়ে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মিনারাই গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে রাস্তায় কতিপয় যুবক শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে আটকিয়ে নানা অপবাদ দিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। ওই যুবকদের ভয়ে কফিল উদ্দিনও নানা কথা বলেন। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ওই ভিডিও চিত্র অতি সুক্ষ্মভাবে সম্পাদনা করে পরদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করতে থাকে একটি পক্ষ। ঘটনার শিকার প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন জানান, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র উদ্দেশ্যমূলক। তিনি আরোও জানান, মঙ্গলবার রাতে মাথিউরার শেখলাল গ্রামে তার এক বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরতে রাত একটু বেশী হয়ে যায়। এ সময় বাড়ি ফিরতে যানবাহনের জন্য অপেক্ষামান থাকাবস্থায় তাকে কতিপয় যুবক ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আপত্তিকর কথা সাজিয়ে ভিডিও ধারণ করে। তার বাড়ি কুড়ার বাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামে।
গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: ফয়সল কবির আহমদ চৌধুরী বলেন, কোথাও দাওয়াতে গিয়ে এমন নিগ্রহের ঘটনা অতি নিন্দনীয়। তিনি প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে হেনস্তার প্রতিবাদ জানান। আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মুরব্বী মো: কালাম উদ্দিন ও শাহিন আহমদ বলেন, প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন আমাদের গ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি যোগ্যতা ও মেধার বলে শিক্ষকতা পেশায় আছেন। তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।