সাঈদীর ফাঁসির রায়: সিলেটে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
চেম্বার প্রতিবেদক: জামায়াত নেতা আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত- শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। শাহপরান থানার এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে গতকাল রাতে জামায়াত নেতা আব্দুল আহাদকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরো ২০ জনকে। মামলা নং ২৯/১৩।
মামলার আসামীরা হলেন নগরীর শিবগঞ্জ সোনারপারা এলাকার নায়র মিয়ার ছেলে জামায়াত নেতা আব্দুল আহাদ,খরাদিপাড়ার মাওলানা আব্দুল মালিকের ছেলে জামায়াত নেতা সালেহ বিন মালিক,খাদিমপাড়ার কবির আহমদের ছেলে শিবির কর্মী তানিম আহমদ,সোনারপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম,
লাকড়িপাড়ার করিম উদ্দিনের ছেলে জামায়াত নেতা মানিক উদ্দিন, সোনারপাড়ার শহিদ আহমদের ছেলে শিবির কর্মী নুর আহমদ,মেজরটিলার আখতারুজ্জামানের ছেলে শিবিরের সাথী ফয়ছল আহমদ, মেজরটিলা পূরবীর মাওলানা আব্দুল মতিনের ছেলে জামায়াত কর্মী ছালিম আছলাম, মিরাবাজার খারপাড়ার শফিক আহমদের ছেলে নজির আহমদ ও সোনারপাড়ার ময়নুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট শহরের শিবগঞ্জ এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জামায়াত নেতা আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে একটি মিছিল নিয়ে শহরে আসার চেষ্টা করে।
এ সময় পুলিশ সোনারপারা ব্রিজের কাছে তাদের বাধা দিলে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর আক্রােমাত্মক হয়ে উঠে৷ তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল মারতে থাকে।
পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পিছু টানে।
এ সময় পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন জামায়াত শিবিরের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী। তার মধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা আব্দুল আহাদ, নজরুল ইসলাম, মানিক উদ্দিন, সালেহ বিন মালিক, নুর আহমদ। বাকিদের তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ওসমানী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।