সর্বজনীন পেনশন স্কিম কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি মাইলফলক: জেলা প্রশাসক
চেম্বার প্রতিবেদক: সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে একটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি মাইলফলক। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাংলাদেশের সব শ্রেণী পেশা মানুষের ভবিষ্যত জীবনে আর্থিক সুরক্ষা দিবে। এটি দেশের সকল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য। এই পেনশন স্কিম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সিলেট অনলাইন প্রেক্লোবের সাথে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মানুষের জীবনে কর্মক্ষমতার একটি বয়স থাকে, যখন ওই বয়সে পরিশ্রম, রোজগার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু সর্বজনীন পেনশন স্কীম করলে কাউকে আর আর্থিক টানাপোড়ানে থাকতে হবে না। সরকার প্রবর্তিত এই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে অনলাইন গণমাধ্যম পথ প্রদর্শক। গণমাধ্যম কর্মীরা জাতির বিবেক সরকারের এই সর্বজনীন পেনশন স্কীম কে এগিয়ে নিতে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মোবারক হোসেন, সিলেট সদরের এসি ল্যান্ড মো: মাহবুবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মোবারক হোসেন বলেন, টেকসই ভবিষ্যত, আর্থ-সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সর্বজনীন চারটি স্কিম চালু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া সকল বয়সীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হতে পারবে। প্রত্যেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পর থেকে আজীবন প্রতি মাসে পেনশন পাবেন। সাংবাদিক সহ সকল স্তরের জনগণকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভূক্ত হবারও আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: গোলজার আহমদ, পাঠাগার ও দপ্তর সম্পাদক মবরুর আহমদ সাজু, কার্যকরী পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব। এসময় বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।