গোলাপগঞ্জে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মীরগঞ্জে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।প্রচারপত্র বিলি এবং মানববন্ধন কর্মসূচীর মাধ্যমে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন ভুক্তভোগী এলাকার জনসাধারণ। এতে ক্ষোব্ধ বালু ব্যবসায়ীদের রোষাণলে পড়তে হচ্ছে অনেককে। গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্দোেলনের জেরে রিপন আহমদ রাহেদ নামে এক স্থানীয় যুবক হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সক্রিয় স্থানীয় মীরগঞ্জের বাসিন্দা,সমাজসেবক নুরুল ইসলাম জানান,বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নদী তীরে বালু জমাট বেঁধেছে। এ দৃশ্য দেখে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা সহ্য করতে পারছে না। তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বন্যার সময় অনেক গরীব মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে ভবিষ্যতে আরো অনেক মানুষের বসতঘর বিলীন হবে। তাই,আমরা যেকোন মূল্যে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে আন্দোলন করছি। প্রচারপত্র বিলি করে মানুষকে সচেতন করছি। মানববন্ধন ও স্বারকলিপির মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় যুবক রিপন আহমদ রাহেদ বলেন,’২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ধুম পড়েছিল। তখন এলাকাবাসীর আন্দোলনের ফলে প্রশাসন বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। এর ফলে কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। কিন্তু,গত বন্যার পর থেকে সরকারী দলের সাথে সম্পৃক্ত প্রভাবশালী একটি চক্র আবারও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করছে। আমরা এলাকাবাসীকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। প্রচারপত্র বিলি করছি,মানববন্ধন করছি এবং প্রশাসন বরাবরে স্বারকলিপি দিয়েছি। এ কারণে গত ৫ সেপ্টেম্বর আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি মামলা করতে চেয়েছিলাম,পুলিশ আমার মামলাও গ্রহণ করেনি। তারপরও আমি দৃঢ় আছি। প্রশাসন অবৈধ এসব বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচী পালন করতে বাধ্য হবো।’