এবার ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে কলাম লেখার অভিযোগে সেই আতিকা নুরীর বিরোদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টারঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতার ও ইসলামের রীতিনীতির সমালোচনা এবং ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতার পক্ষে কলাম লেখার অভিযোগে নির্বাসনে থাকা আলোচিত কলাম লেখিকা আতিকা নুরীর বিরুদ্ধে এবার আরো দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী আজ নারায়ণগঞ্জে ১টি এবং মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১টি মামলা দায়ের করেছেন।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী এবং গিয়াস উদ্দিন তাহেরী নিজেরাই সাংবাদিকদের কাছে মামলা দায়েরের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেন,তসলিমা নাসরিন,হুমায়ুন আজাদ সহ স্বঘোষিত নাস্তিকদের অনুসারী একজন কথিত লেখিকা আতিকা নুরী। সে ইসলামের বিধি-বিধানকে কটাক্ষ করে নিয়মিত লিখছেই। সম্প্রতি সে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে চরম আপত্তিকর একটি কলাম লিখেছে। যেখানে সে খোলামেলাভাবে ট্রান্সজেন্ডার,সমকামিতা এবং নাস্তিকতাকে সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছে। সে বিদেশে বসে লেখনির মাধ্যমে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে ধর্মদ্রোহীতায় উদ্বুদ্ধ করছে।
মামলাকারী ইসলামী বক্তা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন,’সে (আতিকা নুরী) বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতার আয়োজনকে মৌলবাদীদের আস্ফালন বলেছে।ট্রান্সজেন্ডার এবং সমকামিতা-যা ইসলামে নিষিদ্ধ,সেসব নিষিদ্ধ বিষয়ের পক্ষে লিখছে। তার লেখনী ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখী করার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানায় মামলা দায়েরকারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন,’আতিকা নুরী নামক এ লেখিকা চরম ইসলাম বিদ্বেষী লেখিকা। আমরা শুনেছি সে বিয়ে,সন্তান জন্মদান-এগুলোর ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান অনুসরণ করে না। সে অবৈধভাবে বন্ধুর সাথে থাকে,অবৈধ সন্তান লালন করে। তার লেখনী পড়ে তরুণ প্রজন্ম ধর্মবিমুখ হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই,আমরা তার লেখনী পড়া এবং প্রকাশ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান করছি।’
উল্লেখ্য,গত ১৬ জানুয়ারী বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজচেম্বার২৪ ডট কম’ আতিকা নুরীর একটি কলাম প্রচার হয়েছিল। সে কলামে আতিকা নুরী একুশে বইমেলায় ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ নামক বই সহ সকল লেখকের বই স্থান দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলেন। সে কলাম প্রচারিত হওয়ার পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সিলেট-৫ সংসদীয় আসনের এমপি’র ভাতিজা মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলা সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল। সে মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী থাকা অবস্থায় এখন আবারও নির্বাসনে থাকা এ লেখিকার বিরুদ্ধে দেশের ২ জেলায় ২ টি মামলা দায়ের করা হলো।