এমসি কলেজ ছাত্রবাসে ধর্ষণ, মাহফুজকে শাহপরাণ (র:) থানায় হস্তান্তর
চেম্বার ডেস্ক::সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি মাহফুজকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (র.) থানায় হস্তান্তর করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টাইয় তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে শাহপরান (র:) থানায় হস্তান্তর করা হয়। সের আগে সকাল ১০ টায় কানাইঘাট থানা থেকে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা পুলিশের কাছ থেকে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষোণ মামলার ৬ নং আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমানকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মাহফুজুর রহমান কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের সালিক আহমদের ছেলে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।