স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রামে ফ্রেশ উইকেটে দ্রুত রান ওঠে। ওই চিন্তায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে লাভও হয়েছিল লঙ্কানদের। তবে বাংলাদেশের পেসত্রয়ীতে কামব্যাক করে দল। নাগালের মধ্যে আটকেও রাখে তাদের। তবে জয়ের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ওই দলকে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্তর। ক্রিজে অভিজ্ঞ মুশফিকের অসাধারণ সঙ্গও পেয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার সফরকারী লঙ্কানদের বিপক্ষে এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে লাল সবুজের দল।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় শতক শান্তর। ১০৮ বলে ১১ বাউন্ডারি এবং এক ছক্কায় তিন অঙ্কের ফিগারে পৌছান টাইগার অধিনায়ক। দলকে জিতিয়ে যখন মাঠ ছেড়েছেন তার নামের পাশে ১২২ রান। ১২৯ বলের ইনিংসে ১৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২টি।
আরেক অপারজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন ৮৪ বলে ৭৩ রান করে। ৮টি বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তাদের জুটিতে ওঠে ১৬৫ রান।
এরআগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তাসকিন-শরিফুলদের উপর চড়াও হন দুই লঙ্কান ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো এবং পাতুম নিসাঙ্কা। তারা দুজন মিলে পাওয়ার প্লে’র সুযোগ নিয়ে ১০টি চার এবং দুই ছক্কায় শ্রীলঙ্কার স্কোর নিয়ে যান ৭১-এ।
এরপর প্রথমে ম্যাচে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। তার প্রথম তিন ওভারে তুলে নেন তিনি লঙ্কানদের তিন উইকেট। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আভিশকা ফার্নান্দোকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরের পথ দেখান তানজিম। ৩৩ রানে থামতে হয় এই লঙ্কান ওপেনারকে।
১২তম ওভারে অন্য ওপেনার নিসাঙ্কাকেও নিজের শিকার বানান তানজিম। তার বল নিসাঙ্কার ব্যাট ছুঁয়ে ঠাঁই পায় ওয়াইড স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে। ৩৬ রান করেন নিসাঙ্কা।
পরের ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাট ছুঁয়ে বেরিয়ে যেতে থাকা বলটিকে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বল তালুতে জমান মুশফিক। ৭১ রানে প্রথম উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা মুহূর্তেই পরিণত হয় ৮৪/৩।
চতুর্থ উইকেটে আবার শ্রীলঙ্কার ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করতে হয় দুই নতুন ব্যাটার কুশল মেন্ডিস এবং চারিথ আসালাঙ্কাকে। ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। সেই জুটিন ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আসালাঙ্কা (১৮) বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি।
আসালাঙ্কা ফিরলেও ধীরেসুস্থে নিজের ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন কুশল। ৬৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। পঞ্চম উইকেটে জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে তার জুটিতে মিডল ওভারে রানের চাকা সচল থাকে শ্রীলঙ্কার। তবে কুশল মেন্ডিসকে তাসকিন আহমেদ অধিনায়ক শান্তর ক্যাচ বানালে ভাঙে ৬৯ রানের সে জুটি। ৫৯ রান করে ফিরতে হয় লঙ্কান অধিনায়ককে।
কুশল ফেরার পর দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন লিয়ানাগে। সমান ৫০ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। তবে অন্যপ্রান্তে চলতে থাকে আসা-যাওয়া। তাসকিন-শরিফুলদের বোলিং তোপে শেষ ১০ ওভারে ২৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি লঙ্কানরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন জানিথ লিয়ানাগে।
বাংলাদেশের তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম সমান তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। অন্য উইকেটটি নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।