জালালাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা

চেম্বার ডেস্ক: সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ জালালাবাদ কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরীর বিদায়ী উপলক্ষ্যে এক সবংর্ধনা অনুষ্ঠান গত ২৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর জিন্দাবাজারস্হ একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জির সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
কলেজে কো-অর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক ছায়েম আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি
জালালাবাদ কলেজ বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরী তাঁর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ বছরের শিক্ষকতা জীবন ও শিক্ষা প্রশাসনিক অভিজ্ঞার উপর মূল্যবান স্মৃতি চারণ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল হক চৌধুরী, উইজডম ট্রাস্টের সেক্রেটারি ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও অধ্যক্ষ, কবি আবুল কালাম আজাদ, সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মাহমুদুল হাসান, জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ হাসমত উল্লাহ ও সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সিলেট এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: দিদার চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা বেগম এবং সাবেক বাংলা বিভাগের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুশ শাকুর ও রসায়ন বিভাগের প্রধান মুহা: আবু সাঈদ। মানপত্র পাঠ করেন জীব বিজ্ঞানের প্রভাষক তাহসিন সিদ্দিকা। কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক সালমা, ফাহিমা সুলতানা চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মেহেদী হাসান জাবেদ, মো: নজরুল ইসলাম, ফরীদ আহমদ, সাজিদুর রহমান মুরাদ প্রমূখ।
শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল হাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং এর উপর অতীব গুরাত্বারোপ করে বলেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে নেতিবাচক দিকের উপর কড়াকড়ি আরোপে হিতে বিপরীত হতে পারে বিধায়; তথ্য প্রযুক্তি তথা মোবাইল ও ইন্টারনেটের উপকারী, গঠন ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি সিলেট বিভাগে শিক্ষা উন্নয়নে অধ্যক্ষ প্রফেসর বাকী চৌধুরীর অনন্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর আদর্শ লালন করে শিক্ষকরা শিক্ষাঙ্গনে ভুমিকা পালনের আহবান জানান।
বক্তারা সবংর্ধনা অনুষ্টানের আয়োজন করায় জালালাবাদ কলেজ কর্তৃপক্ষ, ট্রাস্টি বোর্ডর চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সুদীর্ঘ ৫২ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনের অধিকারী প্রফেসর বাকী চৌধুরী অবসর জীবনে গিয়ে ও তিনি দেশের শিক্ষাঙ্গনে অবদান রাখবেন। বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর বাকী চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সিলেটের শিক্ষা উন্নয়নের বাতিঘর জালালাবাদ কলেজকে প্রাইভেট কলেজ গুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থানে উন্নীত করণে ভুমিকা রেখেছেন।
উল্লেখ্য, প্রফেসর চৌধুরী ১৯৭১ সালের প্রারম্ভে চট্রগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারী কলেজে (সাবেক সরকারী এম.সি ইন্টারমেডিয়েট কলেজ) দশ বছর এবং ১৯৮০ সাল থেকে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে আরো দশ বছর অধ্যাপনা করেন। ১৯৯৯ সালে জকিগঞ্জ সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। পরের বছর থেকে সিলেট সরকারী কলেজে চার বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। কৃতিত্বের সাথে এ দায়িত্ব পালনশেষে সরকার সন্তুষ্টির সাথে আরো এক বছর এ দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। ২০০৭ সালে জালালাবাদ কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই সময়ে বোর্ড পর্যায়ে ০২ বার জালালাবাদ কলেজ সেরা দশের মর্যাদা অর্জন করে।