এমসি কলেজে নববধূ ধর্ষণ মামলার অাসামী মাসুমকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণের এজাহারভুক্ত আসামী মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় আজ সোমবার রাত ১১টার দিকে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার সংলগ্ন পাকিবিল গ্রাম থেকে গণধর্ষণ মামলার আসামী এসমি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী মাহফুজুর রহমান (২৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং জানানো হবে। আজ রাত ১১টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুরের পাখি বিল এলাকা থেকে মাহফুজকে গ্রেফতার করার পর রাত ১২টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় মাহফুজকে নিয়ে আসার পর থানা প্রাঙ্গনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাহফুজুর রহমানের বাড়ি কানাইঘাট দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামে। তার পিতা সালিক আহমদ একজন সরকারি চাকুরিজীবি।

জানা যায়, ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর থেকে পলাতক ছিল মাহফুজুর রহমান। তাকে গ্রেফতার করতে কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম’র নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম থানার বিভিন্ন এলাকা সহ সিলেটের অন্যান্য এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে আসার পাশাপাশি সে যাতে করে কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যেতে না পারে এজন্য সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি রাখে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার ৬নং আসামী মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদিকে থানা পুলিশের হাতে মাহফুজ গ্রেফতারের পর স্থানীয় জনসাধারণ সন্তোষ্টি প্রকাশ করে থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অনেকে।