এমসি কলেজে গণধর্ষণ: কানাইঘাটে মাহফুজকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান

কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

সিলেট এম,সি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণের এজাহারভুক্ত আসামী মাহফুজকে গ্রেফতারের জন্য কানাইঘাটে সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জানা যায় গণধর্ষণের আসামী মাহফুজের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার বাণীগ্রাম ইউপি’র লামা দলইকান্দি গ্রামে। এ ঘটনায় মাহফুজের বাবা সালিক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবং মাহফুজের অবস্থানের তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য নানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে সরকারি চাকুরিজীবি মাহফুজের বাবা সালিক আহমদ তার ছেলের কোন সন্ধান জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন এবং তিনিও ছেলের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করছেন। এদিকে মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম’র নেতৃত্বে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে করে মাহফুজুর রহমান ভারতে যেতে না পারে তার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারী জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে। সেই আলোকে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যারের নির্দেশে সিলেট জেলার অধিনস্থ সকল থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী মাহফুজের বাড়ি কানাইঘাটে। সেহেতু তাকে গ্রেফতারের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। সীমান্ত এলাকায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতারের সহযোগিতার জন্য তার পিতা সালিক আহমদকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন নববিবাহিত এক দম্পতি। রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে স্বামী গিয়েছিলেন সিগারেট কিনতে। ফিরে এসে দেখেন কিছু যুবক তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করছে। তিনি প্রতিবাদ করলে দুজনকেই ধরে ছাত্রাবাসের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রাখে এবং তরুণীকে ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর বøকের একটি কক্ষের সামনে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রধান আসামি সাইফুর রহমান  অর্জুন লস্কর, মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।