১০ম ধাপের অবরোধের ১ম দিনে সিলেট মহানগর জামায়াতের মিছিল

চেম্বার ডেস্ক: সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাকশালী সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নির্মুলের পথ বেছে নিয়েচে। জনদাবীকে উপেক্ষা করে সরকার আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নয় বরং ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করার মিশন বাস্তবায়ন করছে। দেশে নির্বাচনের কোন পরিবেশ না থাকলেও সরকার আবারো একতরফা ভোটের দিকে হাটঁছে। এদেশে ২০১৪ ও ১৮ সালের স্টাইলের আর কোন পাতানো নির্বাচন জাতি মেনে নিবেনা। নিরপেক্ষ সরকার পুনবর্হাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ছাড়া দেশে নির্বাচনের নামে কোন তামাশা জাতি বরদাশত করবেনা।

বুধবার দুপুরে জামায়াত আহুত ১০ম ধাপের টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের ১ম দিন অবরোধ চলাকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। সোমবার দুপুরে নগরীর মেডিকেল রোড এলাকায় অনুষ্ঠিত পিকেটিং পরবর্তী মিছিল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, শফিকুল আলম মফিক ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী শরীফ মাহমুদ প্রমূখ।

নেতৃবৃন্দ- জামায়াত আহুত ১০ম ধাপের ৪৮ ঘন্টা অবরোধের ১ম দিন অবরোধ সফলের মাধ্যমে দলদাস নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রহসনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করায় সিলেটবাসীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। একই সাথে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে জামায়াত আহুত বৃহস্পতিবারের অবরোধ সফল করার জন্য সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বাচন কমিশনকে বলির পাঠা বানিয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী খুঁেজ না পাওয়ায় নিজ দলের প্রার্থীকে ডামি প্রার্থী বানিয়ে সরকার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের নামে জাতিকে বোকা বানাতে চায়। গণবিরোধী তফসিলের প্রহসনের একতরফা নির্বাচন দেশকে রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিলেও সেদিকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কোন দৃষ্টি নেই। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, আন্তর্জাতিক মহল এবং গণতান্ত্রিক বিশ^ গণতন্ত্রবিনাশী একতরফা ভোটের কথিত তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একতরফা নির্বাচনকে ঘিরে দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতির দায়ভার সরকার ও তাদের দলদাস নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ও আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ছাড়া দেশে কোন পাতানো ভোটে গণতন্ত্রকামী মানুষ অংশগ্রহণ করবেনা।