কানাইঘাটে ইউপি সদস্যকে টাকা না দিলে মিলে না উত্তরাধিকারী সনদ
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার টাকা না দেওয়ায় ইউপি সদস্য মিছবাউর রহমান উত্তরাধিকার সনদ পাওয়ার আবেদন ফরমে স্বাক্ষর না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের উজানাবারাপৈত গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল মালিকের ২য় স্ত্রী ফিরোজা বেগম গতকাল সোমবার ঐ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল মালিক জীবিত থাকাকালে দুইটি বিবাহ করেন। এতে প্রথম স্ত্রী ফাতারুন নেছার সংসারে এক ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সংসারে ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে ওয়ারিশ রয়েছেন। বর্তমানে স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা উত্তোলন ও অন্যান্য কাজে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক উত্তরাধিকারী সনদপত্রের প্রয়োজন হয়। তাই ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা যথাযথ নিয়মে উত্তরাধিকারী সনদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন এবং আবেদন ফরমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষর নেয়ার পর তাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিছবাউর রহমান এর স্বাক্ষর নিতে যান। কিন্তু ইউপি সদস্য মিছবাউর রহমান তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করে বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেম্বার হয়েছি, টাকা ছাড়া কোন কাগজে স্বাক্ষর দিব না। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় ইউপি সদস্যের দাবীকৃত ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় ইউপি সদস্য উত্তরাধিকারী সনদ পাওয়ার আবেদন ফরমে স্বাক্ষর দেন নি। ইউপি সদস্য স্বাক্ষর না দেয়ার ফলে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে উত্তরাধিকারী সনদপত্র প্রদান করতে পারছেন না। যার কারনে ঐ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা উত্তোলন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন না।
দরখাস্তকারী ফিরোজা বেগম ও তার সৎ ছেলে কামাল আহমদ বলেন, ইউপি সদস্য মিছবাউর রহমানের দাবীকৃত ২০ হাজার টাকা না দেয়ার কারনে দীর্ঘদিন থেকে তারা ইউপি সদস্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ইউপি সদস্য স্বাক্ষর দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। যার কারনে তারা নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দরখাস্ত দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মিছবাউর রহমান মুঠোফোনে জানিয়েছেন, টাকা দাবী করার বিষয়টি সত্য নয়।