বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতারে আলী আহমদের নিন্দা

চেম্বার ডেস্ক: সিলেটজুড়ে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা, বাসা-বাড়ীতে তল্লাশীর নামে পুলিশী হয়রানী ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ। অবিলম্বে কারান্তরীণ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি, ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবী মামলা প্রত্যাহার ও বাসা-বাড়ীতে তল্লাশীর নামে পুলিশী হয়রানী বন্ধের জোর দাবী জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে আলী আহমদ বলেন, চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দমিয়ে রাখতে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের উপর গায়েবী মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সিলেট বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। ১ মাসেরও বেশী সময় ধরে কোন নেতাকর্মী বাসা-বাড়ীতে থাকতে পারছেনা। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সময় দিতে পারছেনা। বিশেষ করে দক্ষিণ সুরমায় সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমায় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ সমর্থকদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশী তল্লাশী জোরদার করা হয়েছে। ফরমায়েসী তফসিলে আসন্ন তথাকথিত একতরফা প্রহসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা দক্ষিণ সুরমাকে আতঙ্কের জনপদে পরিনত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন ছাড়া বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নিরীহ সাধারণ মানুষকেও পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। কার ইশারায় ও ইন্ধনে এসব কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে তা দক্ষিণ সুরমাবাসী জানে। দক্ষিণ সুরমার দীর্ঘদিনের লালিত সৌহাদ্র-সম্প্রীতির রাজনীতি বিনষ্ট করার পরিনতি কারো জন্য ভালো হবেনা। ইতিহাস স্বাক্ষী- আজ যাদের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে সময়ের ব্যবধানে তারা যদি প্রতিশোধ নাও নিয়ে থাকে তাহলে প্রকৃতি নিজে থেকেই প্রতিশোধ নিবেই নিবে। তাই সময় থাকতে জুলুম-নিপীড়নের রাস্তা পরিহার করুন। ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন বন্ধ করুন, আটককৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, বাসা-বাড়ীতে তল্লাশীর নামে পুলিশী হয়রানী বন্ধ করুন। এদেশে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।