কানাইঘাটে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বীরদল লক্ষ্মীপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খেলাকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত বেশ কয়েকজনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল বর্ণালী সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বীরদল লক্ষ্মীপুর মাঠে আয়োজিত আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে মুমিন এন্টারপ্রাইজ ঝিঙ্গাবাড়ি বনাম দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়ন বড়দেশ ফুটবল দলের খেলা শুরু হয়। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় বড়দেশ ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড় প্যানাল্টি বক্সের ভেতরে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে অবৈধভাবে বাধা দিলে রেফারি ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বড়দেশ দলের সমর্থকরা মাঠের বাইরে চিৎকার ও গালাগাল শুরু করেন।

খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে কিছু সংখ্যক সমর্থক রেফারির ওপর চড়াও হন এবং মাঠের বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে মাঠের বাইরে খেলা পরিচালনা কমিটির লোকজনের সঙ্গে বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকদের হাতাহাতির ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে মাঠের বাইরে রাস্তা-ঘাটে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকরা জানিয়েছেন, তাদের অন্তত ৬০/৭০ জন দর্শক খেলা পরিচালনা কমিটির লোকজনের হাতে আহত হয়েছেন। তাদের গাড়ি রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আটকে যাত্রীদের বেধড়ক মারধর ও একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। একপর্যায়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ বীরদল এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনাটি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

খেলা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জিবান জানান, সেমি ফাইনাল খেলায় একতরফা অন্যায় ও হামলা করেছে বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকরা। তারা মাঠের চেয়ার ভাঙচুর ও অনেককে মারধর করেছে। বড়দেশ ফুটবল দলের সমর্থকদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি।