কানাইঘাটে শিয়ালাইন বিলের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলার শিয়ালাইন বিলের মালিকানার রায় নিয়ে চতুল এলাকার ১৬ মৌজার লোকজনদের সাথে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ দলইকান্দি আকুনি এলাকার কয়েকটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটতে পারে।
জানা যায়, গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে চতুল ১৬ মৌজার লোকজন কর্তৃক সুপ্রীম কোর্টের হাইট কোর্ট বিভাগ কর্তৃক সিভিল রিভিশন ১২৬৮/২০১০ মামলার বিগত ১৮/০১/২০২৩ইং তারিখের প্রদত্ত রায় অমান্য করে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের অর্ন্তগত শিয়ালাইন বিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরে নিয়ে যান। এছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চতুল ১৬ মৌজার লোকজন শিয়ালাইন বিলের বাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দেয়। এতে দলইকান্দি আকুনি গ্রাম সহ আশপাশ মৌজার মালিকানাধীন ঘাগটি বিল, কুড়ালিখাল ও মানুছড়া খাল বিলের মাছ পানিতে ভেসে যায়।
এ ঘটনায় নিজ দলইকান্দি আকুনি গ্রামের মৃত মঞ্জুর আলীর পুত্র ওয়ারিছ উদ্দিন বাদী হয়ে চতুল এলাকার ৪৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০০/৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কানাইঘাট থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে বড়চতুল ইউনিয়নের চতুল এলাকার ১৬ মৌজার সভাপতি আব্দুল মুছব্বির জানিয়েছেন, শিয়ালাইন বিলটি বাণিগ্রাম ইউনিয়নের অর্ন্তগত নয়, এটি বড়চতুল ইউনিয়নের অর্ন্তগত। ১৯২৬ সাল থেকে শিয়ালাইন বিলটি তাদের মালিকানা ও দখলীয় হিসেবে ভোগ দখল করে আসছিলেন। পাকিস্থান জরীপে শিয়ালাইন বিলের ভূমি সরকারের খাস খতিয়ানে চলে গেলে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারী নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছেন, যা নিজ দলইকান্দি আকুনি এলাকার লোকজন হাইকোর্টের রায় না মেনে জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং তারা নিজেরাই বিলের বাঁধ কেটে ইউএনও অফিস ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে শিয়ালাইন বিলের এ মালিকানা নিয়ে বর্তমানে দু’পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কয়েক দফা দুই এলাকার লোকজন নিজ নিজ এলাকায় জমায়েত হয়ে পুণরায় শিয়ালাইন বিলের মাছ ধরা নিয়ে বৈঠক করেন। যার কারনে বিলের দখল নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।