বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় তরুণ সমাজকর্মী আটক

বড়লেখা সংবাদাতাঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের কাজিরবন্দ বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় তরুণ এক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক সাহিদুল হক বর্ণী ইউনিয়নের পাকশাইল গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। সে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে এবং সামাজিক সংগঠন ‘পাকশাইল গ্রেটভিশন এসোসিয়েশনের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। গত রাতে গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়,২১ জানুয়ারী রাতে বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ বাজারে কিছু যুবক ও ছাত্র অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার উপর হামলা চালিয়েছে। ধৃত আসামী সাহিদুল হক সে হামলার হুকুমদাতা। তার উস্কানী ও নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিদের হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মিজানুর রহমান থানায় অভিযোগ করেছেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সাহিদুল হককে আটক করা হয়েছে।

অপরদিকে পুলিশের এ বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছে আটক যুবকের পরিবার ও সংগঠন।

তাদের দাবী,২১ মার্চ কাজিরবন্দ বাজারে প্রতিবাদী যুবক ও ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলেন চিহ্নিত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনার সময় সাহিদুল সেখানে ছিলেন না। যেসব যুবক ও ছাত্র মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ করেছিল তারা সাহিদুলের অনুসারী ছিল। তাই,পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে অন্যায়ভাবে সাহিদুল হককে আটক করেছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর্ণি ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করে পাথওয়ে নামক সংগঠনের সদস্য সাহিদুল হক ও তার সহযোগী ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
করেছেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই হামলার নির্দেশদাতা যুবককে আটক করা হয়েছে। মিজানুর রহমানের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটক যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।