কানাইঘাটে হাসপাতাল ও চতুল বাজারের সড়কের বেহাল দশা

বদরুল আলম,কানাইঘাট প্রতিনিধি: অধিক ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে কানাইঘাট-চতুল সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তার ভাঙ্গন সংস্কার ও গর্ত ভরাট করে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা পরিষদ গেইট হইতে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সহ রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে নালা খন্দকে ভরে গেছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা হয়ে একাকার হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সহ জনসাধারনের চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালের সামনে বড় বড় গর্তে প্রতিদিন যানবাহন আটকা পড়ে ও উল্টে গিয়ে জনসাধারনের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। গর্তের মধ্যে যানবাহন নিয়ে পড়ে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে কানাইঘাট চতুল বাজারের মূল সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে দূর্গন্ধ দেখা দিয়েছে। যার কারনে বাজারে এসে ক্রেতারা সীমাহীন দূভোর্গে পড়ে থাকেন। কাঁদাযুক্ত পানি একাকার হয়ে যাওয়ায় সড়কের গর্তে যানবাহন উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে ব্যবসায়ীরা জানিছেন। সম্প্রতি চতুল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বাজারের মূল সড়কের ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার পানি ও আবর্জনা নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়ে বাজারে মানববন্ধন করেন। কিন্তু রাস্তার সংস্কার বা ড্রেন নির্মানে স্থানীয় প্রশাসন এবং সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে এগিয়ে না আসায় স্থানীয় জনসাধারন ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া জন গুরুত্বপূর্ন উপজেলা হাসপাতালের সামনের সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করলেও দূর্ঘটনা এড়াতে গর্ত ভরাটের জন্য এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন বা পৌর কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেননি বলে স্থানীয়রা জানান। বার বার সড়কের কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানোর পরও অদ্যবধি পর্যন্ত কোন ধরনের সংস্কারে উদ্যোগ নেননি তারা। দ্রুত সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ সড়কের ভাঙ্গা অংশ সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান হাসপাতালের সামনের সড়কের বেহাল অবস্থার বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ আহমদ মজুমদার সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জিকে জানিয়েছেন। যাতে করে দ্রুত ভাঙ্গা সড়কের অংশ সংস্কার করা হয়। এম.পি মজুমদার দ্রুত সড়কের সংস্কারের জন্য আশ্বস্থ্য করে বলেছেন দু এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল জানান প্রায় দেড় বছর পূর্বে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় করে কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের সংস্কার কাজ হলেও অধিক ভারী পণ্যবাহী যানবাহন ও পাথর বোঝাই ভারি ট্রাক চলাচলের কারনে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ৩/৪মাস থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলার সুতারকান্দী স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানীকৃত পাথর নিয়ে আশা হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে। ভারী ট্রাক সেখান থেকে পাথর নিয়ে কানাইঘাট-দরবস্ত সড়ক দিয়ে জৈন্তাপুর, জাফলংয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার কারনে সড়কের বিভিন্ন জায়গা তলিয়ে যাওয়ার পাশপাশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে করোনার কারনে এসব পাথরবাহী যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। তারপরও ভারীযানবাহন যাতে করে এ সড়ক দিয়ে যেতে না পারে এই জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।