সিলেটে কোটা সংস্কার বিরোধী বিক্ষোভে অধ্যাপক-পুলিশ নিহত, নিখোঁজ ৪ জন

চেম্বার প্রতিবেদক: এবার সিলেটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। গুলিতে পুলিশ সদস্যসহ এক অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৪ মে) দুপুরে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ধর্মঘট পালনকালে প্রথমে পুলিশ আন্দোলনকারীদের মাইক কেড়ে নেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে তাতে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করতে চাইলে পুলিশ আন্দোলনরতদের উপর গুলি ছুঁড়ে। তাদের সাথে হামলায় যোগ দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ-ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় আন্দোলনকারীরা এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তখন পুলিশও পিছু নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের ছোড়া গুলি পুলিশের একজন সদস্যের উপর পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে একি সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান একটি কলেজের অধ্যাপক রনবীর কুমার।
পুলিশের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের ২ নেতা ও এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন।
নিহত দুজন হলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক রনবীর কুমার ও সিলেট কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আব্দুল মান্নান।
পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত দুজন হলেন কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের নেতা মো: ইমন আহমদ ও জাহিদুর রহমান। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের আরও ৪ জন নেতা। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা এক ধর্মঘটের ডাক দেয়। গতকাল সকাল ১০ ঘটিকায় এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীর রিকাবী বাজার থেকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে গিয়ে অংশগ্রহণ করে একাত্মতা পোষণ করে। দুপুর ১২ ঘটিকার দিকে হঠাৎ একদল পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের উপর নগ্ন হামলা চালায়। পুলিশের হামলার সাথে যোগ দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় সিলেটে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।