মইনুল ইসলামের অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে আত্মহত্যা করেন রাজাগঞ্জের ২ সন্তানের জননী
কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাট ৯ নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বীরদল মাঝপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী সজনা বেগমের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল স্থানীয় একটি কেজি স্কুলের শিক্ষক বীরদল আনসারপুর গ্রামের মইনুল ইসলামের।
মইনুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো সজনা বেগমের ২ সন্তান। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে মইনুল তার শিক্ষার্থীদের মাকে ফুসলিয়ে গড়ে তুলেন অনৈতিক সম্পর্ক। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সজনা বেগম অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। সজনা বেগমের ভাসুর আব্দুল করিম বলেন, আমার চাচাতো ভাই শরিফ উদ্দিন প্রবাসে থাকার কারণে এই সুযোগে স্থানীয় কেজি স্কুল শিক্ষক মইনুল ইসলাম আমার ছোট ভাইর বউর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে লোক লজ্জার কারণে সজনা বেগম আত্মহত্যার মতো পথ বেচে নেন। আমরা মইনুল ইসলামের সঠিক বিচার চাই।
উল্লেখ্য, সজনা বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তার বাবার বাড়ী ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের উপর ঝিংগাবাড়ী (কোনা) গ্রামে বসতঘরে গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে৷ এখন নিয়মিত মামলা দায়ের হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।