মোগলগাঁও ইউনিয়নে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা,থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের খাশরগাঁও গ্রামের এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে বাড়ীর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিরন মিয়ার বাড়ীতে থাকতেন। কিশোরীর বাবা আজমল আলী চেয়ারম্যান হিরণ মিয়ার বাড়ীর পাহারাদার ছিলেন। রাতে ঘরের দরজা খুলে মেয়েকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিয়ে যায়। তারা একটি ফসলের মাঠে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। সকালে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ওই কিশোরীর মা মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। গতকাল দুপুরে বাড়ীর পাশে ফসলের মাঠে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আরাফাত বলেন,সকালে গরু চরাতে গিয়ে একটি লাশ সড়কের পাশের ফসলী মাঠে দেখতে পেয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ওই কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া মাথার পেছনে একটি ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। ধর্ষণেন পর হত্যার ঘটনায় কিশোরীর বাবা আজ বাদী হয়ে কোতওয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় মোগলগাঁও ইউনিয়নের খাশরগাঁও গ্রামের মো: তজম্মুল আলীর ছেলে খায়রুল আলম শাকিবকে ১ নং আসামী,ছালিক আহমদের ছেলে আবুল মনসুরকে ২ নং আসামী ও শহিদুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলামকে ৩ নং আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
কোতওয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,ওই কিশোরীর মাথায় আঘাতসহ ধর্ষণের আলামত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।