গাছবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা আজ জিম্মি চাঁদাবাজদের কাছে, প্রশাসন নীরব কেন?
জাহেদ আহমদ: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বৃহত্তর গাছবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা কতিপয় চাঁদাবাজের কাছে জিম্মি। সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।
জানা যায়, এ চক্রের মূলহোতা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হারুন রশিদ , ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন মেম্বার ও তার সহযোগীরা। তারা দীর্ঘ দিন থেকে এ বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন খাত থেকে নিত্যদিন চাঁদা তুলছে। এসব খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-অস্থায়ী কাঁচাবাজার, অস্থায়ী খাবার দোকান, বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ যানবাহন, রাস্তা ও ফুটপাত দখলে নিয়ে বসানো দোকানপাট। এছাড়া
সার্ভিস চার্জের নামে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে।যা দিয়ে প্রশাসনকেও তারা ম্যানেজ করে চলে।ফলে স্থানীয় থানা-পুলিশের নীরব ভূমিকায় এ চাঁদাবাজি চলে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদাবাজদের এমন দৌরাত্ম্য গাছবাড়ী বাজারের সর্বত্র। পেশাদার চক্রের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। পুলিশ ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব বলয়ে থাকা কতিপয় ব্যক্তিই এই চাঁদাবাজিতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাছবাড়ী বাজারের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আসলাম বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, দলের পরিচয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে, এক প্রকার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নীরব চাঁদাবাজি চালাচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ নেতা হারুন রশিদ তার সন্ত্রাসী কর্মীবাহিনী দ্বারা ।
সবজি বিক্রেতা কামাল বলেন,প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার দুই সাপ্তাহিক বাজার দিন হারুন এবং আলাউদ্দিন মেম্বার গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রতিটি দোকান থেকে ২০০/২৫০ করে চাঁদা তুলেন, কেউ না দিলে বা কম দিলে তারা গালাগালি এবং মারধর করে থাকে। এমনকি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ও ঘটনা ঘটে থাকে
সিএনজি চালক কাদির বলেন, মাশুহারা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে পুলিশ দিয়ে মামলা দেওয়া এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়ে থাকে । তিনি বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এসব চাঁদাবাজি সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হলে ওসি জানান- আমরা লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি।অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
বাজার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন -সমস্যাটি আমার একার নয়,এর সমাধানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,একা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।তিনি আরও বলেন- আমরা কানাইঘাট পুলিশকে অনেক বার মৌখিকভাবে অবগত করেছি এই চাঁদাবাজির বিষয়ে।কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেই নি।