কানাইঘাটে ছাত্রদলের ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা, গ্রেফতার ১৫ জন

কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-আওয়ামীলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনকে আসামি করে থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের ও এ মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । শনিবার রাতে কানাইঘাট থানার এসআই মাসুদ বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১৬।

অন্য আসামি গ্রেফতার পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নবীনদের বরণ করে নিতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল বের করে। কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে মিছিলটি কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে কানাইঘাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পয়েন্টে আসার পর মিছিল থেকে ছাত্রদলের ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ও পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০/২২ জন নেতাকর্মী আহত হন। ছাত্রদলের নেতারা দাবী করেন, হামলায় তাদের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশের এস আই মাসুদ বাদী হয়ে ছাত্রদলের ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, আটককৃত ২০ জনকে এ মামলায় আসামী দেখানো হয়েছে। মামলার এজহারভুক্ত আসামীরা হলেন ১) রুহুল আমিন, ২) ছালিম আছলাম, ৩) করিম উল্লাহ, ৪) সাদিক আহমদ,৫) শালিক বিল্লাহ, ৬) আবুল মনসুর, ৭) সোলেমান চৌধুরী
৮) আলমগীর চৌধুরী, ৯) জাহিদ আহমদ,১০) ইমরান আহমদ,১১) জাহিদ আহমদ,১২) আব্দুল হামিদ,১৩) মুনিম,১৪) তোফায়েল,১৫) জাহাঙ্গীর আলম,১৬) ওয়াহিদ চৌধুরী,১৭) শামীম আহমদ,১৮) কামিল আহমদ,১৯) কবির আহমদ,২০) তুহিন আহমদ,২১) আব্দুল কাদির,২২) রহিম উদ্দিন,২৩) বরকত উল্লাহ,২৪) মামুন রশীদ, ২৫) ইকবাল আহমদ,২৬) জুনায়েদ,২৭) মিসবাহ,২৮) বদরুদ্দোজা, ২৯) নাজমুল ইসলাম,৩০) সাইফুল্লাহ, ৩১) হারুন রশিদ, ৩২) রেজওয়ান, ৩৩) মাসুম, ৩৪) শাকিল,৩৫) তানিম,৩৬) আবুল খয়ের,৩৭)মিনহাজুল ইসলাম,৩৮) রাশেদ,৩৯) তুহিন,৪০) ইব্রাহিম,৪১) মওদুদ,৪২) ওদুদ,৪৩) নুরুজ্জামান, ৪৪) আলা উদ্দিন,৪৫) রফিক আহমদ
৪৬) হুমায়ুন কবির,৪৭) লোকমান উদ্দিন,৪৮) আবু বকর,৪৯) ইমাম উদ্দিন ও ৫০) ফরিদ উদ্দিন
কানাইঘাট থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল আলম খন্দকার জানান, আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।