কানাইঘাটে কামিল হত্যাকান্ড: ৩ দিনেও গ্রেফতার নেই কোন আসামী
চেম্বার প্রতিবেদক: কানাইঘাটে গত সোমবার (২১ আগস্ট) জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন চাচাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত কামিল আহমদের লাশ ময়না তদন্তের পর দাফন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর নিহত কামিল আহমদের লাশ বিকেলে তার নিজ বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ বাণীগ্রাম (খালোপাড়) গ্রামে নিয়ে আসার পর তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাদ আসর ব্রাহ্মণগ্রাম পূর্ব জামে মসজিদ মাঠে তার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গ্রামের গুরুস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে কামিল আহমদ হত্যাকান্ডের ৩দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কামিল আহমদের ছোট বোন শারমিন বেগম বাদী হয়ে ভাই হত্যার মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) তিনি কানাইঘাট থানায় ৭ জনকে আসামী করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন আলা উদ্দিন আলাই (৫৫), নিজাম উদ্দিন(৫০), শরীফ উদ্দিন(৪৫), শাহিন আহমদ(৪০),ছয়ফুল আলম(৩৬), হারুণ রশীদ(৪৫) ও তোতা মিয়া(৬০)।
ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছেন। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানিয়েছেন, কামিল আহমদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মামলার বাদী নিহতের বোন শারমীন বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, কামিল আহমদকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে খুনীরা উল্লাশ করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং এলাকায় অনেক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারনে ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না কেউ।
এদিকে কামিলকে কেন খুন করা হতে পারে জানতে চাইলে কামিলের ছোট বোন শারমীন বেগম বলেন, আপন চাচা আলা উদ্দিন সহ অপর চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা তাদের পৈত্রিক বেশ কিছু জমিজমা দীর্ঘদিন থেকে জোরপূর্বক ভাবে দখল করে রেখেছে। এর প্রতিবাদ সহ জমিজমা ফিরে পেতে এলাকায় বিচারপ্রার্থী হওয়ার কারনেই গত সোমবার রাত ১০টার দিকে গাছবাড়ী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পাশে কামিল আহমদকে চাচা আলা উদ্দিন ও চাচাতো ভাইয়েরা পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পৈশাচিক কায়দায় পিটিয়ে তার ভাইয়ের হাত-পা ভেঙে এবং পুরো শরীর থেতলে হত্যার পর খুনীরা উল্লাশ করেছে।
তিনি আরো জানান, আমার ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় খুনীদের নাম বলে গিয়েছেন, ভাইয়ের বলার আলোকেই ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহতের স্বজনেরা।