“সরকার বাজারে” সংঘর্ষে আহত জাহাঙ্গির মারা গেছেন,৯ জনের নামে মামলা দায়ের
মৌলভীবাজার সংবাদদাতাঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমূখ ইউনিয়নের সরকার বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘঠিত সংঘর্ষে আহত জাহাঙ্গির চৌধুরী মারা গেছেন। গতকাল (বুধবার) মৌলভীবাজার পলি ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গিরের পিতা বাবলু চৌধুরী আজ বাদী হয়ে বাজারের ৯ জন ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রানুযায়ী মামলার আসামীরা হলেন; ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুর রুপ মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া মহাজন,মোজেফরাবাদ গ্রামের জলাল আহমদের পুত্র তোফায়েল আহমদ,আইনপুর গ্রামের সুন্দর মিয়ার পুত্র আব্দুল সহিদ ইমন,খলিলপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার পুত্র সানুর মিয়া,ঘোরাখাল গ্রামের মোঃজামাল মিয়ার পুত্র ওয়াশিম মিয়া,নাসিরপুর গ্রামের খসরু মির্জার পুত্র কামরুল মির্জা,সাধুহাটি গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র আবুল কাশেম,ফতেপুর গ্রামের মৃত বাছিদ মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া ও সাধুহাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র মামুনুর রশিদ।
উল্লেখ্য,গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল স্থানীয় সরকার বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন। সে নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা লেফাস চৌধুরী ও বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া মহাজন। নির্বাচনে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ এ সংঘর্ষে লেফাস চৌধুরীর ভাতিজা জাহাঙ্গির চৌধুরী গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে গতকাল মারা যায়। দাফন শেষে আজ জাহাঙ্গিরের বাবা,আনোয়ার মিয়া মহাজন সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
সার্বিক বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে মৌলভীবাজারের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃইয়াছিনুল হক বলেন,’সংঘর্ষের পর থেকে সরকার বাজার উত্তপ্ত ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে আহত একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহতের পরিবারের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামীদেরকে ধরতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।’