কানাইঘাটে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সাইফুল আলম, অতিথি লেখক:

সিলেটের কানাইঘাটে চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। রোপা আমন ধান আবাদকৃত মোট জমির পরিমাণ ৮হাজার ৬শ ৯০ হেক্টর। সব মিলিয়ে এখন কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাতাসের সাথে ফসলের মাঠে পাকা ধানের শীষ দুলছে। সোনালি ধান হাসি ফুটিয়েছে কৃষকদের মুখে।

কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ইউনিয়নে রোপা আমন ধান ভালো ফলন হয়েছে। এবার ৮হাজার ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ২শ হেক্টর, উফসী ৭হাজার ৯শ ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ধান ৫৫০ হেক্টর আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কানাইঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

মাঠে গিয়ে জানা যায়, ভয়াবহ বন্যা দুর্যোগের পর কৃষকের মুখে কিছুটা নিঃশ্বাস দিচ্ছে আমন ধানের ভালো ফলনে। বন্যার কারণে জমিতে পলি পড়ায় ধানও হয়েছে ভালো। বাংলা কার্তিক মাসের ১৫ তারিখ থেকে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কানাইঘাট উপজেলায় নেই কৃষি কর্মকর্তা। জকিগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে এখানে এসে অতিরিক্ত দয়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা পরিপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন না। পাওয়া যাচ্ছে না সঠিক তথ্যও।

কৃষকরা জানিয়েছেন, ফলন ভালো হলেও শুরুতে পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে হিমসিম খেতে হয়েছে। বেড়েছে খরচাপাতিও। সেই খরচ অনুপাতে ধানের দাম পাওয়া যাবে কি না এ নিয়ে চিন্তায় আছেন কৃষকরা?

এদিকে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের সরবরাহকৃত ধান কাটা ও মাড়াই মেশিন দিয়ে ধান কর্তন ও মাড়াইয়ের কাজ করতে কৃষকদের উৎসহ দেয়া হচ্ছে। এবার ৫টি অত্যাধুনিক মেশিনে জমির ক্ষেতেই ধান কাটা ও মাড়াই ওই মেশিন দ্বারা একই সাথে সম্পন্ন হওয়ায় ধানের মান ভালো হচ্ছে। ওই ধান বাজারে চাহিদা বেশি রয়েছে বলে তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ রব্বানী।

বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ছত্রপুরের কৃষক ইউসুফ আলী জানান, ‘এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে শুরুতে পোকার আক্রমনে কিছুটা ক্ষতি করেছে।’

কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) আশিকুর রহমান জানান, এবার আমন মৌসুমে উন্নতমানের আমন ধান বীজ, যথাসময়ে ধান ক্ষেতে সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।