/>
সর্বশেষ

» কানাইঘাটে নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, ৫ যুবক আটক

প্রকাশিত: ৩০. মে. ২০২৩ | মঙ্গলবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি::

কানাইঘাটে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অবুঝ শিশু সন্তানের সামনে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার রাত ১১টার দিকে ঘটনার পর সোমবার (২৯ মে) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের সাথে জড়িতসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারী পাড়া গ্রামের বিলাল আহমদের পুত্র ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর পুত্র জুবের আহমদ (২৪)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণের সাথে জড়িত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের বাড়ী কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে। আনুমানিক ২০ দিন পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি দুদু মিয়ার সাথে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সাথে ওই নারীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো। ভিকটিমের ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়া যেতে বলে। পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দুদু মিয়া ভিকটিমকে তার বাড়ী থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে ফুসলিয়ে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকে।

রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এতে দুদু মিয়ার ফোনে তার সহযোগী আব্দুল করিম বীরদল বাজারে চলে আসে এবং তারা ওই নারীকে কৌশলে মোটর সাইকেল যোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যায়। এতে স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য জুবের আহমদের রিক্শায় তুলে দেওয়া হয়। এসময় ভিকটিমের পিছু নেয় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম। একপর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিকশা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিকশার গথিরোধ করে এবং তাকে পুরানফৌদ গ্রামের পিপি হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তার হেলাল ও ফরহাদ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তপাত হয়। তখন গণধর্ষণের সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে স্থানীয়দের সহায়তায় সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের সাথে জড়িতসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ।

বর্তমানে গণধর্ষিতাকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930