সর্বশেষ

» কানাইঘাটে অপহরণ মামলা : সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে লিখিত অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫. মে. ২০২৩ | বৃহস্পতিবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি:: সিলেটের কানাইঘাট থানায় দায়েরকৃত একটি অপহরণ মামলা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র আব্দুল হান্নান।

বুধবার (২৪ মে) পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগে আব্দুল হান্নান উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন নিরীহ লোক, তারই প্রতিবেশি তাহির আলীর মেয়ে আয়শা বেগমের সাথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম নজই এর দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৯ মে প্রেমের টানে আয়শা বেগম প্রেমিক নজরুল ইসলামের বসত বাড়িতে চলে আসে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেনে নজরুল ইসলামের পিতা আব্দুল হান্নান স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের অবগত করলে মুরুব্বিরা তার বাড়িতে এসে আয়শা বেগমের জবানবন্দী শুনেন। আয়শা বেগম জানায় সে স্বেচ্ছায় প্রেমের টানে চলে এসেছে এবং প্রেমিক নজরুল ইসলামকে বিয়ে করতে চায়।

জবানবন্দীতে মুরুব্বিদের কাছে আয়শা বেগম আরো বলে তাকে কেউ অপহরণ করেনি কিংবা জোরপূর্বক নিয়ে আসেনি। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঐদিন রাতে কানাইঘাট থানার এস.আই এনামুল কবির একজন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে আব্দুল হান্নানের বাড়িতে যান এবং আয়শা বেগমের জবানবন্দী শোনেন। তখন আয়শা বেগম পুলিশের নিকট জানায় তাকে কেউ অপহরণ করেনি কিংবা জোরপূর্বক নিয়ে আসেনি, যার জবানবন্দী ভিডিও রেকর্ডও করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় মুরুব্বিদের যৌথ সমন্বিত সিদ্ধান্ত হয় উভয় পরিবার মিলিত হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নজরুল ইসলামের সাথে আয়শা বেগমকে বিয়ে দেয়ার জন্য। কথাবার্তা চলাকালে আব্দুল হান্নানের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র তোতা মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিয়ের আলাপ-আলোচনা পন্ড করে দেয়, যাহার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে।

পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগে আব্দুল হান্নান আরো উল্লেখ করেন, পরবর্তীতে তোতা মিয়া আয়শা বেগমকে তার হেফাজতে রেখে তাকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে আয়শাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার স্বাক্ষর নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় আব্দুল হান্নানের ছেলে নজরুল ইসলাম নজই, ভাগ্না আমিন উদ্দিন, মামাত ভাই বাসিক, ভাতিজা রেজওয়ান আহমদ ও ভাগ্না আলমদের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, সাজানো দাবি করে আব্দুল হান্নান সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

অপরদিকে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে পুলিশ সুপারের বরাবরে সোনাতনপুঞ্জিসহ আশপাশ গ্রামের আরো শতাধিক লোকজন স্বাক্ষর পূর্বক অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগের বাদি আব্দুল হান্নান বলেন, তার শত্রুপক্ষ তোতা মিয়া তাদেরকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। ঘটনার রাতে আয়শা বেগম তার পরিবারের কাছে যেতে অস্বীকৃতি জানালে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর এ মামলাটি তোতা মিয়ার যোগসাজশে দায়ের করা হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031