কানাইঘাটে গাড়ি ভাঙচুর করে বিধবা নারীর পেনশনের ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই
কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাটে এক স্বাস্থ্যকর্মীর পেনশনের নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ছিনতাইয়ের সাথে পরিবারের লোকজন জড়িত বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মরহুম ফারুক আহমদের পারিবারিক পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কানাইঘাট সোনালী ব্যাংকে যান ফারুক আহমদের স্ত্রী ও ছেলে।
দুপুর ১ ঘটিকার দিকে ব্যাংক থেকে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে একটি লাইটেস গাড়ি নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। এ সময় কানাইঘাট বাজার থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার যাওয়ার পর কানাইঘাট ডিগ্রী কলেজের সামনে ৪টি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে একদল ছিনতাইকারী গাড়িটির গতিরোধ করে।
গাড়িতে থাকা মরহুম ফারুক আহমদের ছেলে সায়েম আহমদ জানান, আমার আপন চাচা বাবুল আহমদসহ আরো কয়েকজন আমাদের গাড়ি থামিয়ে টাকাগুলো তাদেরকে দিতে বলেন। এ সময় আমার মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে ও জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সায়েম বলেন, ছিনতাইকারীরা এ সময় আমাদেরকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইয়ের সাথে কানাইঘাট ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও জড়িত। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, ফারুক আহমদের পেনশনের টাকা ছিনতাই করতে আপন ছোট ভাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী বাবুল আহমদ কানাইঘাট ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় এ ছিনতাই অভিযান চালান।
এসময় মা ছেলের চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এসে ধাওয়া করলে ছিনতাইকারীরা দুইটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল দুইটির মধ্যে একটি ডিসকভার (সিলেট ল ১১-৬৪৯৩) ও অন্যটি পালসার (সিলেট ল ১১-৮৮৬৬) মডেলের।
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল দুইটি জব্দ করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া কানাইঘাট থানার এএসআই নূরুল ইসলাম জানান, ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।