উৎসব ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় নিয়োগ পাওয়া প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকদের উৎসব ও শিক্ষা ভাতা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে শিক্ষকরা যোগদান করলেও এখনো পর্যন্ত তারা উৎসব ভাতা বা শিক্ষা ভাতা পাননি। এ নিয়ে শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে শিক্ষকরা মনে করছেন, ঈদুল ফিতরের মাত্র সপ্তাহ দুই সামনে রেখে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও তা শেষ করা বেশ দুরূহ। ফলে এবারও ঈদে উৎসব ভাতা হাতে পৌঁছাবে কি না, তা নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
গত সোমবার (৩ এপ্রিল) অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) এইচ এম আবুল বাশার সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ৭ ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। এতে প্রত্যেক জেলায় সদ্য যোগদান করা শিক্ষক সংখ্যা, গত ঈদুল আজহায় কত সংখ্যক শিক্ষক উৎসব ভাতা পেয়েছেন, শিক্ষা ভাতা পাওয়া শিক্ষকদের প্রকৃত সংখ্যাসহ ৭ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ এর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য সৃষ্ট পদে নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষকদের নির্ধারিত সময়ে যথাযথ উৎসব ভাতা ও শিক্ষা ভাতা বরাদ্দের জন্য উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রয়োজন। নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকগণ অর্থবছরে শুধুমাত্র ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা প্রাপ্য হবেন। একই সঙ্গে শিক্ষা ভাতা পাওয়া শিক্ষকদের তথ্যও প্রয়োজন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে নিম্নোক্ত ছক তথ্যগুলো আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক তথ্য sayeeda.irany05@gmail.com এই ই-মেইলে পাঠাতে হবে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন যোগদান করা শিক্ষকরা গত বছরও উৎসব ও শিক্ষা ভাতা কিছু পাননি। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং অধিদপ্তরকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর মাত্র সপ্তাহ দুই পর ঈদুল ফিতর। ঈদ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে অধিদপ্তর। এটি লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু না।
তারা মনে করেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষকদের হাতে উৎসব ভাতা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। আর ঈদ শেষে উৎসব ভাতা দেওয়ার অতীতে কোনো নজির নেই।