সর্বশেষ

» মামলার পর প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৯. মার্চ. ২০২৩ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

প্রথম আলোর সাংবাদিককে রাতের আঁধারে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সংস্থা তা স্বীকার করছে না। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? কারণ দেশে তো আইন আছে।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়, মামলা করে বিচার চায়, থানায় গিয়ে মামলা করে তাহলে সেই অনুযায়ী কিন্তু পুলিশকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। আমি যতটুকু জানি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে, সেই মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে সিআইডি না অন্য কেউ করেছে তা এখনো নিশ্চিত না।

তিনি বলেন, শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি এখনো বিস্তারিত জানেন না। প্রথম আলো যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেটা যে মিথ্যা ছিল, তা ৭১ টিভির সংবাদে পরিষ্কার হয়ে উঠে এসেছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকাসক্তি বর্তমানে আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমাদের দেশের মূল সম্পদ হচ্ছে আমাদের জনশক্তি। এই জনশক্তির দুই-তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ মাদক নামক মরণ নেশায় আক্রান্ত। ফলে আমাদের দেশ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মাদক সেবনের ফলে আমাদের তরুণ ও সযুসমাজ জীবনীশক্তি, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা ও মেধা শক্তি হারিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, খুন ও সন্ত্রাস।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনভাবে আমরা মাদক সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। এর একটি হচ্ছে মাদকের সরবরাহ হ্রাস, অন্যটি মাদকের চাহিদা হ্রাস ও এবং তৃতীয়টি হচ্ছে মাদকের অপব্যবহারজনিত ক্ষতি হ্রাস। এই তিনটি দিক নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের মাদকের ভয়াল আসক্তি থেকে মুক্ত করতে প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র করা ও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর জন্য সরকারি অনুদান বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা কার্যক্রম আরও উন্নত ও সহজলভ্য করার জন্য সরকারি সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক অনুদান প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোর মতো চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে ৮২টি বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের ৪১টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদানের চেক আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728