শ্রমিকলীগ কর্মী কালাম হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধিঃ সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শ্রমিকলীগ কর্মী কালাম আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) মামলার বাদী ফারুক আহমদের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে আলোচিত এ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়,৬ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার ও জামিলা আফরীনের দৈত ব্যাঞ্চে হত্যা মামলার বাদী,নিহত কালাম আহমদের পিতা ফারুক আহমদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বিবাদী পক্ষের আইনজীবির সময় বাড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি ঘোষণা করেছেন আদালত। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবি,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ,সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,২০২১ সালের ১০ এপ্রিল দক্ষিণ সুরমায় খুন হন গাড়ি চালক ও শ্রমিকলীগ কর্মী কালাম আহমদ।উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের একটি বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর ১২ এপ্রিল কালামের বাবা ফারুক আহমদ বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার ২ নং আসামী তারেক আহমদ ও ৩ নং আসামী কলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত দুজনই বিএনপিপন্থী চালক সমিতির সদস্য। এ মামলার প্রধান আসামী উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সহকারী কোষাধক্ষ্য এবং সিলাম ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সেক্রেটারি আব্দুল সামাদ রিপন। সে ঘটনার পর থেকে পলাতক। মামলার ৪ নং আসামীও পলাতক। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর পুলিশ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারী আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
সার্বিক বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন,দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শ্রমীকলীগ কর্মী কালাম আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবি বিচার বিলম্বিত করার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে কিছু দিনের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেছেন। আমাদের পক্ষের সব সাক্ষীরা পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্য প্রদান করবেন। শাহ অলিদুর রহমান,অয়েছ আহমদ,শাহ আরিফ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা আশাবাদী,হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারবো। ২ জন আসামী কারাগারে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধান আসামী সহ ২ জনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। প্রধান আসামী পলাতক থাকায় আমরা হতাশ। আমরা পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর দাবী জানাচ্ছি।