র্যাবের সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: র্যাবের সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সহায়তা চান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পক্ষ র্যাবের উন্নত কর্মক্ষমতা স্বীকার করেছে। তবে বাহিনীর টেকসই সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে। র্যাব এখন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।
মোমেন বলেন, র্যাব আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী ও বছরের পর বছর ধরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।
আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির সদ্ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
এর আগে মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, ইউক্রেন সংকট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং অধিকার সংক্রান্ত বিষয়সহ দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। ডেরেক শোলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা ও পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
মার্কিন পক্ষ আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ এবং ভাসানচরে তাদের মানবিক উদ্যোগ জোরদার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুততম টেকসই সমাধান এবং তাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে ও অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈশ্বিক খাদ্য ও তেল সংকট এবং পারস্পরিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয় থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শোলে জানিয়েছেন, খাদ্য সংকট সমাধানে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্ব নিরসনে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।