ভয়াবহ ভূমিকম্প : তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে

চেম্বার ডেস্ক:: কয়েক দশকের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার ভোরের দিকে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এখনও অসংখ্য মানুষ ধসে যাওয়া হাজার হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে কয়েক ঘণ্টা পরে আঘাত হানা ২য় ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যও আসতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় লোকজন ঘুমাচ্ছিলেন। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (এএফএডি) তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে আজ ভোরের দিকের ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৪৯৮ জনে পৌঁছেছে। এএফএডি মহাপরিচালক অরহান তাতার বলেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৪ জন। দেশজুড়ে ২ হাজার ৮৩৪টি ভবন ধসে গেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সিরিয়ায় ৮১০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করার পর তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে।

এদিকে, তুরস্কের দক্ষিণের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূমিকম্পের প্রথম আঘাত হানার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ২৪ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।

অগভীর এই ভূমিকম্প তুরস্কের একিনোজু শহরের চার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হেনেছে। সেখান থেকে ৮০ মাইল দক্ষিণের কাহরামানমারাস প্রদেশে দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির তথ্য নতুন করে আসতে শুরু করেছে। যে কারণে প্রাণহানি ও ভবন ধসে যাওয়ার ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে তুর্কি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

যদিও দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানার আগেই কাহরামানমারাসে প্রথম ভূমিকম্পে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।