বাংলাদেশকে গণতন্ত্র-মানবাধিকার শেখানোর কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চেম্বার ডেস্ক:: বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ‘শেখানোর কিছু নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এশিয়া অঞ্চল) ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে কী ধরনের আলোচনা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন এ মন্তব্য করেন।

শুক্রবার বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘এসব ব্যাপারে (গণতন্ত্র-মানবাধিকার) বাংলাদেশকে শেখানোর কিছু নেই। কারণ এটা আমাদের মজ্জাগত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আমাদের অন্তরে, সর্বক্ষেত্রে। গণতন্ত্র ও জাস্টিসের জন্য কারো সুপারিশ করার দরকার নেই। তবে কেউ যদি কোনো পরামর্শ দেয়, সেটা আমরা শুনব। যাচাই-বাছাই করব, সেটা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক কিনা; যদি ভালো হয়, তবে সেটা গ্রহণ করব।’

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা তো আমাদের বন্ধু দেশ। দেশটির সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আমাদের এখানে আসছেন। তার সঙ্গে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করব। তারা যদি কোনো কনস্ট্রাকটিভ সাজেশন দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করব। আমরা একটা ব্যালেন্সড ফরেন পলিসিতে বিশ্বাস করি।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের খুব একটা আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘এ জোটে যোগ দিতে বাংলাদেশের খুব আপত্তি নেই। আমরা এটা নিয়ে এখনো স্টাডি করছি। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামে যোগদান করলে যদি আমাদের লাভ হয়, তাহলে আমরা যোগদান করব।’

এর আগে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আতফুল হাই শিবলী স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘শিবলীর মনটা ছিল অনুসন্ধিৎসু। ছোট বোনের স্বামী হলেও তিনি ছিলেন আমার সহকর্মী ও বন্ধুর মতো। শিবলী একজন পরিপূর্ণ ও সফল মানুষ ছিলেন। তিনি যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অসুস্থ ছিলেন তখনো অন্যের উপকারের জন্য চিন্তা করতেন। সবসময় হাসিমুখে থাকতেন। তার মতো মানবোপকারী মানুষকে হারানো আমাদের পরিবার এবং দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন  অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর সহধর্মিণী নাজিয়া শিবলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খাতুন এবং আতফুল হাই শিবলীর সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা।