সর্বশেষ

» প্রয়োজন ছাড়াই বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করা হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩. জানুয়ারি. ২০২৩ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রয়োজন থাক বা না থাক, কোনো গর্ভবতী নারী বেসরকারি হাসপাতালে গেলেই সিজার করে বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে সাধারণত প্রয়োজন ছাড়া সিজার করা হয় না। কারণ, সিজার করলেও তাদের আলাদা কোনো লাভ নেই। অথচ, বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করলেই তাদের অতিরিক্ত লাভ হয়।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আরবান হেলথ সার্ভে-২১’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (নিপোর্ট)।

সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো সব সময় ব্যবসায়িক স্বার্থের দিকে বেশি খেয়াল রাখে। সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেলিভারি করা হয়। এসব হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমবে। এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থাও করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মাঠের সঠিক তথ্য পেলে মূল চিত্রটা আমাদের কাছে আসে। কাজের ক্ষেত্রে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি বা কতটা সফলতা অর্জন হয়েছে, সেটাও জানতে পারি। তার ওপর নির্ভর করে আমাদের সার্বিক করণীয় ঠিক করতে পারি।

স্বাস্থ্য খাতের সফলতা তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হয়েছি। টিকার ক্ষেত্রে সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ উপাধি পেয়েছেন। আমরা দেশের আটটি বিভাগে নতুন বিশেষায়িত হাসপাতালের কাজ শুরু করেছি। যেহেতু, এ বছর সরকারের শেষ বছর। সেহেতু যেসব কাজ চলমান আছে, এগুলো সম্পন্ন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দক্ষ জনবল। প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অনেক কম। প্রতি ১০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে আমাদের মাত্র ২৩-২৪ জনবল আছে। অথচ, অন্যান্য দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ৮০-৯০ জন করে আছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিপোর্টের মহাপরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বাদল।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930