অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: গ্রেফতার ৪, মামলা যাচ্ছে ডিবিতে
চেম্বার ডেস্ক:: সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে দ্রুত হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে দ্রুত হস্তান্তর করা হবে।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় নিজ গাড়িতে যাওয়ার পথে একটি মিছিল থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর করেন দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ওইদিনই পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, তার গাড়িচালক ও গানম্যানের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গানম্যান রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি রাত (বুধবার) সোয়া ১১টার দিকে নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিএনপির মিছিল থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা হয়।
হামলার বিষয়ে বিচারপতি মানিক জানান, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সোয়া ৪টার দিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার যাওয়ার সময় পল্টনে বিএনপির সমাবেশ থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।
হামলার ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এ বিষয়ে বিচারপতি মানিক বলেন, হামলায় মাথায় আঘাত পেয়েছি। তারপর থেকে মাথায় প্রচুর ব্যথা করছে। ডাক্তাররা সবাই বলছিলেন এমআরআই করতে। তাই ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
এদিকে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।