সিলেটে কলেজ শিক্ষক সাইফুর হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক জাহাঙ্গীরকে আসামী করায় নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষক সাইফুর রহমান (৩০) হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমকে আসামী করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজচেম্বার টুয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার, তরুণ সংবাদকর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে এ হত্যাকান্ডে আসামী করা হয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিক মহল।
এক বিবৃতিতে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সহ সাধারন সম্পাদক ও নিউজচেম্বার টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর আলম একজন উদীয়মান সৃষ্টিশীল সংবাদকর্মী। সে সিলেটের বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা পত্রিকায় তুলে ধরার পাশাপাশি অনেকের দুর্ণীতির প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এতে করে সে অনেকের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষক সাইফুর রহমান হত্যার ঘটনায় তাকে কারো না কারো ইঙ্গিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আসামী করা হয়েছে।
আমরা কলেজ শিক্ষক সাইফুর রহমান হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই, ষড়যন্ত্র মূলক আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দিয়ে ও প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত রহস্য উদঘাটন করে এ হত্যার সুষ্ঠ বিচারের প্রত্যাশা করি প্রশাসনের কাছে।

সোমবার নিহতের মা রনিফা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজহারভুক্ত আসামীরা হলেন, মোজাম্মিল হক, নিশাত তাসনীম রুপা ও জাহাঙ্গীর আলম।
হত্যাকাণ্ডের পর পৃথক অভিযান চালিয়ে এজহারভুক্ত ১ ও ২ নং আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। শহরের টিলাগড় থেকে মোজাম্মিল হক ও মেজরটিলা থেকে নিশাত তাসনীম রুপা নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা তেলিরাই এলাকা থেকে সাইফুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাইফুর গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতইল সগাম গ্রামের মো. ইউসুব আলীর ছেলে। তিনি শহরের টিলাগড় জমিদার বাড়ির একটি মেসে থাকতেন। পেশায় শিক্ষক সাইফুর শহরের মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পাশাপাশি গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল কলেজেরও প্রভাষক ছিলেন।