কানাইঘাটে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গণধর্ষণের শিকার শিল্পী
জাহাঙ্গীর আলম, কানাইঘাট থেকে: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে এক শিল্পী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার শিল্পী সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চামেলিবাগ এলাকার বাসিন্দা। ঐ শিল্পী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে রাজাগঞ্জ শিকদার ফাউন্ডেশন কলেজ মাঠে গতকাল বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন শিল্পীদের আমন্ত্রন জানানো হয়। শিল্পীদের ৫ জনের একটি দল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০ ঘটিকায় অনুষ্ঠান শুরু হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ আশপাশের অনেক মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে সভাস্থলে জড়ো হন। সকাল ১১ ঘটিকার দিকে পুরো অনুষ্ঠানস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। গান আর বাদ্যযন্ত্রে শিল্পীরা যখন পুরো অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে তুলেন তখন অনুষ্ঠানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সাব্বিরের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ছাত্রলীগের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অতর্কিত হামলা শুরু করে। হামলার সময় অনুষ্ঠানস্থলে আসা লোকজন এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে। হামলায় ছাত্রদলের কয়েকজন আহত হন। তাৎক্ষণিক সবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হামলার সময় অনুষ্ঠানে আগত অতিথি শিল্পীরা পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। তখন ছাত্রলীগ ক্যাডার সাব্বির একজন শিল্পীকে জোরপূর্বক তার বাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ একটি দল ঐ শিল্পীকে গণধর্ষণ করে। পরে শিল্পীকে ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
বিকাল পর্যন্ত ঘটনাটি অনেকের কাছে জানাজানি হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। কারণ, সাব্বির গংদের ক্ষমতার দাপটে চলে অত্র এলাকা।
ধর্ষণের শিকার শিল্পীর এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, একটি সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে এসে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে পারলাম না, আমি সবার সাথে কথা বলে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার শিল্পী থানায় অবস্থান করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।