সব জেলায় বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এখন ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র (চালু) হচ্ছে। এরপরও ১৪ জেলা বাদ থাকবে। সেসব জেলা হাসপাতালে শিগগির কাজ শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে ৭৪টি শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মিল্টন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮০০ ডলার। স্বাধীনতার পর দেশে হাসপাতালে ১০ হাজার বেড ছিল না, এখন দেড় লাখ বেড আছে। আমরা আর কোনো মানুষকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে চাই না। প্রত্যেকে যাতে বেডে চিকিৎসা পায়, সেটি ঠিক করতে হবে।’
তিনি বলেন, অনেকে বলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় আস্থা কম, বিদেশে যেতে হয়। করোনার সময় কেউ বিদেশ যেতে পারেনি। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন। করোনার কারণে অনেক হাসপাতালের মান উন্নত হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানের উন্নয়ন হয়েছে।
‘ঢামেক যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সেরা ও বড় হাসপাতাল হবে’ মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গর্ব করে বলি যে বাংলাদেশে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম যদি মনে থাকে তার একটি হচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে কেউ ফেরত যায় না, প্রত্যেকের জন্য জায়গা এখানে হয়ে যায়।’
আটটি বিভাগের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আমরা সেন্টরালাইজড করেছি জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ঢাকায় রোগীর অনেক চাপ, বিশেষ করে ঢাকা মেডিক্যালে। আমরা এটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার চেষ্টা করছি। আটটি বিভাগে অর্থোপেডিক, নিউরোসায়েন্স, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আটটি হাসপাতালের ডিপিপি আমরা প্রণয়ন করেছি। ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। শিগগিরই তা একনেকে যাবে। সেটি হলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়ন করা যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আহমেদুল কবির, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিটু মিয়া, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা প্রমুখ।