সর্বশেষ

» মিতু হত্যার অভিযোগে বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: ১৩. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: স্ত্রী মিতু হত্যার মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনারের (প্রসিকিউশন) কার্যালয়ে পৌঁছান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করে আমরা আপনাদের অবহিত করব।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদন জমা দেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, বাবুল আক্তার একটি মামলার আবেদন করেছেন। আদালত এখনো আদেশ দেননি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, মেট্রো এসপি নাঈমা সুলতানা, খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির ডিবি বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইন্সপেক্টর কাজী এনায়েত কবির।

২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর থেকে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়- ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের উপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাবুলের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে তার শ্বশুরের করা মামলার অভিযোগপত্রে তাকে (বাবুল আক্তারকে) প্রধান আসামি করা হচ্ছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930