সর্বশেষ

» মিয়ানমারের সীমান্তে গোলাগুলি, ফের অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ১২. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের এলাকাগুলো থেকেও ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। চলমান এ সংঘর্ষের জেরে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।

রোববার (১১ সেপ্টম্বর) বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি এলাকার অপরদিকে সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি বিজিবি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমন্ত পিলার ৩৬-৩৮ এর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ২ বিজিপির অধীনস্থ মুরিঙ্গাঝিরি ও কোকোডিঙ্গা বিজিপি ক্যাম্প থেকে পাহাড়ে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত ২২টি মর্টার শেল নিক্ষেপের শব্দ শুনা যায়।

অন্যদিকে তুমব্রু বিজিবি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিপি-৩৪ থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ পূর্ব-দক্ষিণে এবং তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশের জন্য ঘুমধুম তমব্রু সীমান্তের অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছেন। সুযোগ পেলেই অনুপ্রবেশ করতে পারেন তারা।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আজও বেশকিছু গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। এছাড়া বেশকিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছেন বলে স্থানীরা জানিয়েছেন। তবে সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর পাইনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন সিংহ জানান, সীমান্তের অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বেশকিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে জড়ো হয়েছিল। তবে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়া হয়নি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031