সর্বশেষ

» বিনএনপি সমালোচনা করলেও ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯. সেপ্টেম্বর. ২০২২ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির করার সুযোগ, যেটির জন্য বাংলাদেশ বহু বছর ধরে চেষ্টা করে আসছে।

আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলেছে, এখন নিশ্চয়ই চুপসে গেছে। এরপরও ফখরুল সাহেবেরা আজকালের মধ্যে কিছু একটা বলবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত চমৎকার ফলপ্রসূ হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সমস্ত কিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহল আমাদের অধিকারে চার দশকে কেউ আনতে পারেনি। তারা কোন দেশের নাগরিক সেটা বলতে পারত না। শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে যে সম্পর্ক সেটির বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে মামলা করে সমুদ্র সীমা জয়লাভ করেছি।

প্রকৃতপক্ষে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেটি আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সেটির প্রমাণ হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য বিনা শুল্কে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের হাজারো পণ্যের মধ্যে মাদকসহ মাত্র ২০টি পণ্য ছাড়া ভারত আমাদের ট্যারিফ সুবিধা দিয়েছে। যেটি বিএনপি আদায় করতে পারেনি। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে আমাদের গঙ্গার পানি হিস্যার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেটিও আদায় করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সারাদেশে আজ একটি আশা-ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে তাকে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা নেপালসহ এই উপ-মহাদেশের কোনো দেশে সাংবাদিকদের করোনা সহায়তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে চার হাজার সাংবাদিককে সহায়তা দিয়েছে, এটি এখনও চলমান আছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কে কোন দল বা মতের সেটি দেখি না। আমি দল করি, আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী, কিন্তু যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে দুই চোখে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি, রাষ্ট্রের সাহায্য যেন সবাই পায়। যারা প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি।

প্রত্যেক মিডিয়া হাউজ যেন সাংবাদিকদের জন্য গ্রুপ বিমার ব্যবস্থা করে সে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি কিন্তু আমাদের ওয়েজ বোর্ডের মধ্যেও বলা আছে। সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো প্রতিটা মিডিয়া হাউজে তাগাদা দেবেন ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী যেন সাংবাদিকদের জন্য গ্রুপ বিমার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটি করলে একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে এবং মৃত্যুবরণ করলে বিমা কোম্পানি থেকে টাকা পাবে। এতে যে খুব ব্যয় হয় তা কিন্তু নয়, এটি ইচ্ছা এবং চর্চার ব্যাপার।

এ সময় চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম প্রমুখ।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30